দেশাত্মবোধক গান সব একসাথে ডাউনলোড করুন? Desher Gaan all Download One Click

এই পোস্টে দেশাত্মবোধক গানের সম্পূর্ন ইতিহাস তুলে ধরেছি, এর সাথে ১১০ টি দেশাত্মবোধক গানের একটি জিপ ফাইল দেওয়া হল। এই ফাইটি আনজিপ করে উপভোগ করতে পারেন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক গান গুলো। আপনি দেশের গানের জন্য আর কোথাও খোজাখোজি করতে হবে না।

দেশাত্মবোধক গানের ইতিহাস জানুন?

আমরা বাঙ্গালী কিন্তু একটা সময় যখন আমাদের শব্দ বাঙালী শব্দটা না, এমন কি আমাদের নাম বাংলা নাম ছিল না। তখন আমাদের প্রিয় মাতৃভাষাকে কেউ বলতো শুধু ভাষা কেউ বলতো দেশী ভাষা কেউ বলতো বাঙ্গালা ভাষা আর সতেরো শতকের কবি আবদুল হাকিম তাকে লেখক বঙ্গদেশী বক্তব্য।

তারপর কবিতা করে তিনি বলেছেন বঙ্গবাণী, প্রকৃতপক্ষে তখন বঙ্গদেশটা বিভক্ত উল্লেখ ৭টি ভাগে। অখণ্ড বঙ্গদেশ বলে কোনো দেশ তখনই না দেশের ভূগোল সাধারণ মানুষের স্ক্রিপ্টও তাই স্পষ্ট না, দেশপ্রেম জন্মলাভ করবে কিভাবে।

দেশ বলতে তখন দেশটা একটা অংশকে যেমন- এখনো কোন অংশের লোকে জেলা না বলে দেশ বলা হয়, তাই তখন যে- প্রেম তা বৈশিষ্ট্য বিশেষ এবং ভাষা প্রতি। দেশাত্মবোধক না বলে তখনকার এই প্রেমকে তাই বলা যায় ভাষাত্মবোধক, পার্টি কি থাকতো আবদুল হাকিমের রচনা থেকে তার আভাস পাওয়া যায়।

তিনি বলেছেন যে বই পড়ার সুবিধা নেই তাদের শেখার বাসনা মেটাতে তিনি তাঁর আঞ্চলিক শব্দ করেছেন, তাঁর, নবীর কথায় আরবী, ফারসী এবং হিন্দীতে কিছু থাকে না কারণ আল্লাহ সব ভাষা বোঝেন।


দেশাত্মবোধক গানের ভাষা।

তাঁর কথাটা সহজ সরল নানা দেশে নানা ভাষা প্রচলিত আছে, কিন্তু নিজের দেশের ভাষা ছাড়া কি তৃপ্তি হয় তারপর একটা তুলনা দিয়ে তিনি এই অতৃপ্তির কথাটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। নদী এবং সরোবরে অনেক জল আছে, কিন্তু বৃষ্টির জল ছাড়া কি চাতকের তৃষ্ণা মেটে। এখানেও ভাষার আড়ালে দেশের কথা উহ্য আছে।

নিধুবাবু যখন এ গানটি রচনা করেন ইংরেজ রাজত্বের ততো দিনে পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হয়েছে, এবং দেশ সম্পর্কিত ধারণাও খানিকটা দানা বেঁধেছে। সেটা উচ্চবর্ণের হিন্দুধর্মীয় হলেও, তার মধ্যে এক ধরনের জাতীয়তাবোধের ছবি ফুটে উঠছিলো।

১৮৬৭ সালে নবগোপাল মিত্রের উদ্যোগে ‘হিন্দুমেলা’ নামে একটি মেলা আয়োজিত হয়, তা ছিলো এই স্বাদেশিকতারই বহিঃপ্রকাশ। এই মেলার কথা মনে রেখে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি দেশপ্রেমের গান রচনা করেছিলেন, কয়েক বছর আগে ইংল্যান্ডে থাকার সময়েই তিনি ইংরেজি ভাষায় বহু দেশাত্মবোধক কবিতা ও গানের সঙ্গে পরিচিত হয়ে থাকবেন।

অতঃপর তিনি বিভিন্ন বস্তু এবং ব্যক্তির উল্লেখ করে অন্য দেশের সঙ্গে তার তুলনা করেছেন, এবং প্রতিটি স্তবকের শেষে ঘোষণা করেছেন, হোক ভারতের জয়, জয় ভারতের জয়, কি ভয় কি ভয়, গাও ভারতের জয়।


দেশাত্মবোধক গানের ভালোবাসা।

এ গানে দেশের প্রতি ভালোবাসা এবং দেশকে নিয়ে গর্ববোধ দুই-ই প্রকাশিত হয়েছে, দৃষ্টান্ত দিয়ে এ গানে স্বদেশের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার প্রয়াসও আছে, এর আগে বাংলা ভাষায় এ ধরনের গান রচিত হয়েছিলো কিনা সন্দেহ আছে। গানটি সাধারণত সমবেত সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়, সমবেত সংগীতের ধারণাও অনেকটাই পাশ্চাত্য থেকে ধার করা।

সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো তাঁর ছোটো ভাইয়েরাও দেশপ্রেমের পরিবেশে লালিত হয়েছিলেন, এই পরিবেশের একটা প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিলো প্রাচীন ভারতের প্রতি ভালোবাসা।

সে ভালোবাসা বোঝানোর জন্যে যবনদের ঘৃণা করা আর পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধা দেখানো যেমন, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ফরাসী নাট্যকার জঁ রাসিনের একাধিক নাটকের অনুবাদ করেছিলেন, তাতে গানগুলো দিয়েছিলেন নিজের লেখা।


দেশাত্মবোধক স্পেশাল বাংলা অডিও গান ডাউনলোড করুন?

দেশের গান আমাদের বাংলাদেশ নিয়ে লেখা একটি গান যাকে আমরা দেশাত্মবোধক গান বলি। দেশের গান বা গানগুলি সাধারণত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে রচিত হয়। দেশের গান বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয়, বাংলাদেশের নাগরিকরা দেশগের গান বাজিয়ে তাদের দেশের প্রতি ভালবাসা প্রদর্শন করে।

https://rebrand.ly/Desher-Gaan

পরবর্তী পোস্টটি দেখুন! আগের পোস্টটি দেখুন!
কোনো কমেন্ট নেই !
এখানে কমেন্ট করুন!
comment url